নারী শুধু নর্তকী নয়
নীলিমা সুলতানা সুমি
নর্তকীর পায়ের ঘুংগুর
তোমার পায়ে জড়িযে দেখ না নর
যদি নর্তকীর হৃদয়ের যন্ত্রণা খানিকটা বুঝতে পার।
বড় ভারী এ ঘুংগুর
যত বড় বীর- ই তুমি হও
এ ঘুংগুর এর ভার বইবার যোগ্য তুমি নও।
হে নর,অযথায় নারীকে নর্তকী বলে,
মিছেই উপহাস কর।
বলত কার বা কারনে
নারীরা নর্তকী হয়?
যে ঘুংগুরের ভার বইতে তোমরা অপরাগ
সে ঘুংগুর এক নারী
আগলে রাখে কি করে? সব সময়।
হে নর তোমরাই বল
নর্তকী স্পর্শ কি নারীর নয়?
তবে কেন সে নারী ?
হতে পারেনা কারো ঘরণী ?
কতদিন ঝার বাতির আলোর?
বাজবে তার ঘুংগুর আর কতটা সময়
ভরে যায় তার মন হাজার কালোয়।
তবু সে নিজেকে সাজায়
সব টুকু শক্তি দিয়ে ঘুংগুর বাজায়
তোমাদের কাটাঁতে রংঙিন সময়।
নেশায় পেয়ালায় ঝিম ধরে
নর্তকীকে রানী ভাব,হয়তো কোন সময়,
সে নেশা কেটেঁ গেলে রানী আবার নর্তকী হয়।
বিষাধের তার হৃদয় হয় ক্ষয়
হয়তো ক্ষণিকের জন্যই করে সে
সবার মন জয়।
নর একটি বার ভেবে দেখ
যে নারীর জীবনটা কেবল একজোড়া
ঘুংগুরের বাধঁনে বাধাঁ,
সে নারীও হতে পারতো কারো মাতা,
সেও করতে পারত একটি ঘরের আশা।
আজ একটি বারের জন্য হলেও বল নর
নারীরা কেবল নর্তকী নয়।
সে কারো বোন,কারো স্ত্রী,কন্যা বা মাতা হয়।